ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের জনগণকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুখী বাংলাদেশ উপহার দেওয়া। সরকারের প্রত্যাশা ও বিশ্বাস, দেশের জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও বজায় থাকবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে গৃহীত লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ প্রণয়নের কাজ চলছে।

ইতোমধ্যে দেশের অমূল্য পানি-সম্পদের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপসহ সকল খাতের সমন্বয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা, যা ইতোমধ্যে অনুমোদন করা হয়েছে।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যার ফলে জনগণের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ২০১৮ সালে ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।  

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্নে ১৯৭১ সালে দেশে জনপ্রতি আয় ছিল ১০০ ডলারের মত এবং দারিদ্র্য সীমার নীচে ছিল ৭০ ভাগ জনগণ। তাই দারিদ্র্য দূরীকরণ হল উন্নয়ন অভিযাত্রার মৌলিক বিষয় এবং যেহেতু এখনো প্রায় তিন কোটি মানুষ দরিদ্র। তাই মৌলিক কৌশল এখনো দারিদ্র্য বিমোচন।

মুহিত আরো বলেন, বাংলাদেশ ২০১৮ সালে এসে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমরা বিগত বছরগুলোতে সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। ২০১৮ সালে দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্র্যের হার যথাক্রমে ২১ দশমিক ৮ ও ১১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

বিরোধী দলের চিফ হুইপ নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে করদাতার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি। করদাতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা, টিআইএন ইস্যুর উদ্যোগ চালু রয়েছে ও কর আদায়ের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- তালিকাভুক্ত করদাতাদের সঙ্গে টেলিফোনিক/ব্যক্তিগত যোগাযোগ করা, হালখাতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বকেয়া আয়কর আহরণের ব্যবস্থা, রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ করদাতাদের জরিমানা আরোপ, বৃহৎ করদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করা, বকেয়া দাবি আদায়ে সকল আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।