এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করায় পলাশ থানায় ওই ইউপি সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রীর মা।
মামলার আসামিরা হলেন- গজারিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন, বারেক মিয়া ও জয়নাল হোসেন।
জানা যায়, সোমবার রাতে ওই স্কুলছাত্রী তার দাদীর ঘর থেকে নিজের ঘরে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে জয়নাল হোসেন (৩৫) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে একটি ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির পরিবার তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে বাড়ির পাশের ওই নির্জন ঝোপ থেকে উদ্ধার করে।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর মা জানান, মেয়েকে উদ্ধার করার পর তার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে শুনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও জয়নালের চাচতো ভাই বারেক মিয়াকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে বারেক মিয়া থানায় মামলা করতে বাধা দেন।
তিনি আরো বলেন, থানায় মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে, নয়তো এলাকা ছাড়া করবে। ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন থানায় মামলা না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চান। আমরা বিচারের আশায় থানায় ইউপি সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ধর্ষণের বিষয়ে আপোষ করার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, আমার কাছে দুই পক্ষ এসে আপোষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে আমি তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করি।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) গোলাম মোস্তাফা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
আরএ