ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চালু হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
চালু হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল চালু হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল

ঈশ্বরদী (পাবনা): চালু হতে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে “টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস” এর উদ্বোধন করবেন।

বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) সকালে উদ্বোধন করার পরই নিম্নাঞ্চল খ্যাত দক্ষিণাঞ্চলের থেকে পশ্চিমাঞ্চল ছুটবে ট্রেন “টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস। ”

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) নাজমুল ইসলাম বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-১ রিয়াদ আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত রাজবাড়ির কালুখালী থেকে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া রেলপথে ১৯৯৭ সালের ১৯ আগস্ট ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। তারপর কাসিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গীপাড়া নতুন রেললাইন প্রকল্প ২০১১ সালে পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলরুটে ৩২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রেলপথ উদ্বোধন করেন।  

পরে কাসিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত রেললাইনে ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হয় এ রেলপথের কাজ।  

২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেললাইনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।  

ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপ নামে দু’টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রেললাইন নির্মাণের দায়িত্বে ছিল। মধুমতি নদীর ওপর একটি রেলসেতু, ছয়টি রেলস্টেশন, ৪৩টি কালভার্ট নিয়ে তৈরি রেলপথ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর কাসিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে চরবয়রা পর্যন্ত নতুন রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিভিন্ন স্টেশনে থেমে থেমে এ রেল লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের উপযোগী কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখেছেন।  

বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর রাজশাহী-গোপালগঞ্জ রুটে নিয়মিত ট্রেন চলবে।


পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, ৭৮৩ নম্বর টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি গোপালগঞ্জ থেকে রাজশাহী পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। শোভন ও শোভন চেয়ারে ৬৪৮ জন যাত্রী, আটটি কোচ সর্বমোট ১৬টি বগি দিয়ে দু’টি ট্রেন রাজশাহী-গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করবে।  

বৃহস্পতিবার ৭৮৩ নম্বর টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি গোপালগঞ্জ থেকে সকাল ১০টায় ছেড়ে ছোট বহিরাবাগ, কাসিয়ানী, বোয়ালমারী বাজার, মধুখালী জং, কালুখালী জং, কুমারখালী, কুষ্টিয়া, পোড়াদহ, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী জংশন হয়ে রাজশাহী পৌঁছাবে।  

পরদিন ৭৮৪ নম্বর টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদী জংশন, ভেড়ামারা, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া, কুমারখালী জং, মধুখালী জং, বোয়ালমারী বাজার, কাসিয়ানী, ছোট বহিরাবাগ, গোপালগঞ্জ পৌঁছাবে। ৭৮৩ নম্বর রাজশাহী-গোবরাগামী ট্রেনটি সপ্তাহে মঙ্গলবার, গোবরা-রাজশাহীগামী ৭৮৪ নম্বর ট্রেনটি সপ্তাহে সোমবার বন্ধ থেকে বাকি দিনগুলোতে চলাচল করবে।  

সময়সূচি এখনো পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজশাহী পৌঁছানোর পরই সময়সূচি ঠিক করা হবে। ২ নভেম্বর থেকে নিয়মিত চলাচল করবে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।  

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্হাপক (জিএম) মজিবর রহমানের নেতৃত্বে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ রিয়াদ আহম্মেদসহ পশ্চিম রেলওয়ে ও বিভাগীয় পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্যক) ও এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিঞা বাংলানিউজকে জানান, সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ -রাজশাহী রুটে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস’র উদ্বোধন করার পরই ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।  

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, অল্প খরচে নিরাপদ ভ্রমণে সহজেই সারাদেশের মানুষ টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেসে চড়ে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।