বুধবার (১৪ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে বগি লাইনচ্যুত হয়।
স্টেশন কতৃর্পক্ষ জানায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টেশন কতৃর্পক্ষ কমলাপুর থেকে তেজগাঁও স্টেশনের একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রেখেছে।
অন্যদিকে রেললাইন সংখ্যা কম হওয়ায় ঢাকা অভিমুখী ও ঢাকা থেকে ছাড়তে প্রতিটি ট্রেন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হচ্ছে।
বুধবার সকাল ৮টায় নীলসাগর ট্রেন চিলাহাটির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। একইভাবে স্টেশনে অপেক্ষমাণ আছে সকাল পৌনে ৮টার ট্রেন মহুয়া এক্সপ্রেস, সকাল সাড়ে ৮টার কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, সাড়ে ৯টার তিতাস কমিউটার, পৌনে ১০টার অগ্নীবিণা, ১০টার ট্রেন একতা এক্সপ্রেস এবং সকাল সাড়ে ১০টার ট্রেন কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সকাল পৌনে ৮টা থেকে অপেক্ষমাণ হাবিবা নামে নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় দুই সন্তানকে নিয়ে আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আমাদের কোনো তথ্যও জানানো হয়নি।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার ভোর ৫টার একটু আগে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী মালবাহী একটি ট্রেনের বগি তেজগাঁওয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে কমলাপুর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। তাই ট্রেন আসতে ও ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সংস্কার কাজ চলছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
ইএআর/এএ