সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে একথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমাদের তো দেশেই থাকতে হবে, জনগণের মধ্যেই থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে থেকে আমার একটি রেসপসিবিলিটি আছে। এখন এক কথা বলবো, আজ থেকে ২৬-২৭ দিন পর যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তখন কি হবে।
‘আমরা একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। গতবার বিএনপি অংশ না নিয়ে যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেটা এবার হবে না। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন হোক এটা আমরা চাই না। ’
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অলি আহমেদ সাহেব সম্ভবত গতকালই আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি নির্বাচনে লেবেল প্লেইং ফিল্ডের বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে কিছু কিছু সমস্যা তুলে ধরেছেন। আমি তাকে তখনই বলেছি যেহেতু এখন প্রশাসন ইসির অধীনে তারপরেও সরকারের একজন মন্ত্রী ও পার্টির সেক্রেটারি হিসেবে চেষ্টা করবো। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে কথাও বলেছি। আমরা কোনো অবস্থাতেই একতরফা কোনো অবস্থার সৃষ্টি করে নির্বাচনী লড়াইয়ে যেতে চাই না। এটা ওয়ান সাইডেড গেম হোক ওয়ান সাইডেড ম্যাচ হোক এটা আমরা চাই না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের হচ্ছে দুই চাকার বাইসাইকেল। গণতন্ত্রে বিরোধীপক্ষ একটি চাকা। কে বিরোধীদল হবে সেই সিদ্ধান্ত জনগণ ভোটের মাধ্যমে দেবে। এখানে অন্যদের ঠেকিয়ে বা আটকে রেখে আমরা একাই নির্বাচন করবো, ফাঁকা মাঠে গোল দেবো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোটেই এ ধরনের ইচ্ছা পোষণ করেন না। এটা আমি ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এবং দেশবাসীকে আশস্ত করতে চাই।
রোববার (২ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২০ দলীয় জোটের প্রায় ৮০ প্রার্থী বাতিল হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতা অলি আহমদে জানিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা নিয়ে সংশয় আছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর যে হুমকি দিচ্ছে, সেটা যেন জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে ওই সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে আসবেন। এটাই আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করি।
লেবেল প্লেইং ফিল্ড নিয়ে ২০ দলীয় জোটের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, দেশে অনেক নির্বাচন দেখেছি। নির্বাচনের আগে জনমত যেদিকে প্রবল হয়, যারা জনমতে পিছিয়ে থাকেন তারা এক ধরনের হতাশায় ভোগেন। তারা দেখছেন যে তাদের আসলে জেতার সম্ভাবনা কম। জনমত কিন্তু একটা দিকে হেলবেই। একদিকে জোয়ার বইবেই। দুটো জোয়ার তো এক সঙ্গে চলবে না। শিডিউল ঘোষণার পর আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে কারা পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে। এ ধরনের অহমিকা প্রকাশ করতে চাই না।
মনোনয়ন বাতিলের আশঙ্কা থেকেই আওয়ামী লীগও এক আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ধরেই নিয়েছিলাম হাজি সেলিম আইনী জটিলতায় টিকবেন না। সেজন্য মহানগর দক্ষিণের সভাপতিকে সিরিয়ালে দুই নম্বরে রেখেছিলাম। এখন দেখলাম সেলিম আইনে টিকে গেলেন। এখানে আমাদের কি করার আছে। আমাদেরও অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কোনোভাবেই ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চান না
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এসএম/এএ