ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দোষী সাব্যস্ত হলে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
‘দোষী সাব্যস্ত হলে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা’ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা/ছবি: শাকিল

ঢাকা: ‘ঘটনা একসঙ্গে ঘটেনি। এর শুরু থেকে তদন্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ২টায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ কথা জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইউসুফ।

দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে:ভিকারুননিসা অধ্যক্ষ

তিনি বলেন, আমরা ঘটনার শুরু থেকে তদন্ত করবো।

এর সঙ্গে জড়িত, পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যে পরিবারে হয়েছে তাদের সঙ্গেও কথা বলবো। কোনো ঘটনা একসঙ্গে হয় না। আমরা পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনায় আনার চেষ্টা করবো। মন্ত্রণালয় ও স্কুল থেকে গঠিত কমিটির তদন্ত একসঙ্গে দেওয়া হবে। সেটা দেখে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।

তিন সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার বেনজির আহমেদ ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাখায়েত হোসেন।

আগামী তিনদিনের মধ্যেই অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেবে উভয় কমিটি।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এরইমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক জিন্নাত আরাকে শোকজ করা হয়েছে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- ভিকারুননিসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. আতাউর রহমান (অভিভাবক প্রতিনিধি), তিন্না খুরশীদ জাহান (অভিভাবক প্রতিনিধি, সংরক্ষিত মহিলা) এবং ভিকারুননিসার শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম।

সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে রাজধানীর শান্তিনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে অরিত্রী অধিকারী (১৫) নামে ভিকারুননিসার এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেন। অরিত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার (০২ ডিসেম্বর) পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, তার মেয়ে পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে নকল করছিল। তাই তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ খবর শোনার পর স্কুল থেকে অরিতী বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দিলীপ অভিযোগ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে অপমান করেছে এবং জানিয়ে অরিত্রী পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছে।

আর সহপাঠীর আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।