প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড এবং গভর্নিং বডি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অরিত্রীর আত্মহত্যা: কমিটি গঠনে হাইকোর্টের নির্দেশ
নাজনীন ফেরদৌস বলেন, অরিত্রী প্রভাতী শাখায় পড়াশোনা করতো। পরীক্ষা হলের ডিউটি টিচার তার নকল ধরে শাখা প্রধানের কাছে নিয়ে যান। পরে শাখা প্রধান তাকে বহিষ্কার করে পরীক্ষা স্থগিত করেন।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শাখা প্রধানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইউসুফ জানান, ‘ঘটনা একসঙ্গে ঘটেনি। এর শুরু থেকে তদন্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
তিনি আরো বলেন, আমরা ঘটনার শুরু থেকে তদন্ত করবো। এর সঙ্গে জড়িত, পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যে পরিবারে হয়েছে তাদের সঙ্গেও কথা বলবো। কোনো ঘটনা একসঙ্গে হয় না। আমরা পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনায় আনার চেষ্টা করবো। মন্ত্রণালয় ও স্কুল থেকে গঠিত কমিটির তদন্ত একসঙ্গে দেওয়া হবে। সেটি দেখে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তিন সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার বেনজির আহমেদ ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাখায়েত হোসেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ গঠিত অপর কমিটির সদস্যরা হলেন- ভিকারুননিসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. আতাউর রহমান (অভিভাবক প্রতিনিধি), তিন্না খুরশীদ জাহান (অভিভাবক প্রতিনিধি, সংরক্ষিত মহিলা) এবং ভিকারুননিসার শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম।
আগামী তিনদিনের মধ্যেই অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেবে উভয় কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস