ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মসূচি দিয়ে স্কুল ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
কর্মসূচি দিয়ে স্কুল ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ/ছবি: শাকিল

ঢাকা: সহপাঠীর আত্মহত্যার ঘটনায় দিনভর বিক্ষোভ শেষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জনসহ কয়েকটি কর্মসূচি দিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা।  

তাদের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে বুধবারের সব পরীক্ষা বর্জন, সকাল ১০টায় কলোব্যাজ ধারণ ও ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান, প্রচলিত আইনে সহপাঠীর আত্মহত্যার বিচার এবং গভর্নিং বডিসহ অধ্যক্ষের পদত্যাগ।



নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আনুশকা বলে, আমাদের সহপাঠীকে আমরা হারিয়েছি। আর কাউকে আমরা এভাবে অকালে হারাতে চাই না। আমরা একটা ন্যায়বিচারের আশায় বুধবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। বিজয়ের মাসে স্কুল থেকে দেওয়া শাপলা ফুলের ব্যাজের পরিবর্তে কালোব্যাজ পরবো। পাশাপাশি বুধবারের সব পরীক্ষা বর্জন ঘোষণা করছি। যদি পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে আমরা তা হতে দেবো না।

নাজমা নামে অপর শিক্ষার্থী বলে, আমরা শুধু পরীক্ষা বর্জন করবো না, অধ্যক্ষেরও পদত্যাগ চাই। বর্তমান কমিটি দায়িত্ববান না দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তাই গভর্নিং বডির পদত্যাগ চাই। শিক্ষাকে বাণিজ্যের যে রূপ দিয়েছে তা মানি না। শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন চাই।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে রাজধানীর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রী অধিকারী (১৫)। সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রভাতী শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার (০২ ডিসেম্বর) পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, অরিত্রী পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে নকল করছিল। তাই তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ খবর শোনার পর স্কুল থেকে অরিত্রী বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দিলীপ বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে অপমান করেছে এবং জানিয়েছে অরিত্রী পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছে। ’

আর সহপাঠীর আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বাংলাদপশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
ইএআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।