ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাদুল্যাপুরে পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
সাদুল্যাপুরে পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৩ ঘটনার পর থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে এলাকায়। ছবি-বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানের প্রাইভেট কারের ধাক্কায় এক বৃদ্ধা আহত হওয়ার জেরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় সাদুল্যাপুর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) হেলাল উদ্দিন ও কনস্টেবল আবদুল কাফী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাদুল্যাপুর-মীরপুর সড়কের তরফবাজিত এলাকার রেজা চাতাল সংলগ্ন (নলডাঙ্গা মোড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

আটক ব্যক্তিরা হলেন- জামালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাদুল্যাপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম রেজা, তার ছোট ভাই সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এশরাফুল কবীর আরিফ ও স্থানীয় পশু চিকিৎসক মঞ্জু মিয়া।  

এদিকে, তিনজনকে আটক করার ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। পরে তারা সাদুল্যাপুর থানার সামনে ও চারমাথা মোড়ে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। ফের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল প্রাইভেটকারে করে সাদুল্যাপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নলডাঙ্গা মোড়ে গাড়িটি পথচারী এক বৃদ্ধাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানের ওপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করে।  

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এমরানুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, হামলার ঘটনায় পুলিশের এএসআই হেলাল উদ্দিন ও কনস্টেবল আবদুল কাফী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আবদুল কাফীর দু’টি দাঁত ভেঙে গেছে। তাদের উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত বৃদ্ধাকেও হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।  

জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পর আহত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করা হলে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং বাধা দেয়। পরে পুলিশ এলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করীম রেজা ও তার পক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।  

তবে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আটক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করীম রেজার ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, হয়রানির উদ্দেশেই পুলিশ প্রভাবিত হয়ে তাদের আটক করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।