ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অশান্ত জনপদে নির্বাচনে শান্তি চায় স্বজনহারা পরিবার

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
অশান্ত জনপদে নির্বাচনে শান্তি চায় স্বজনহারা পরিবার স্বজনহারা মা

মেহেরপুর ঘুরে: মেহেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা গাংনী। নির্বাচনে আগে ও পরে সহিংসতা এখানকার বলতে গেলে প্রতিবছরের ঘটনা। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। তাই আসন্ন  নির্বাচনে শান্তি চান সন্তানহারা মায়েরা। 

২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। এর পরপরই নানাভাবে জেলার শাহারবাটি ইউনিয়ন আওয়ামলী লীগের তৎকালীন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয় বলে অভিযোগ।

আশরাফ আলী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এর পরে ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করা হয় আশরাফ আলীকে। স্থানীয় রাজনীতির দ্বন্দ্বে খুন হন আশরাফ।
 
আশরাফ আলীর ছোট ছেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক মানবসম্পদ সম্পাদক নাহিদ-উজ-জামান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন। এটা স্বাধীনতাবিরোধীরা সহ্য করতো না। এ কারণে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরেই বাবাকে দিনে-দুপুরে খুন করা হয়। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে অনেককে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। বাবাকে হারিয়ে আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। আমরা নির্বাচনী সহিংসতা চাই না। নির্বাচনে হার-জিত থাকবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কোনো সহিংসতা হোক সেটা চাই না।
 
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের খবির উদ্দিনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবির উদ্দিনের ছেলে ও মেয়েদের ভিটা-মাটি ছাড়া করা হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই কেবল নিজ ভিটায় বসবাস শুরু করেন খবির উদ্দিন। আরেকজন হচ্ছেন সুশান্ত বিশ্বাস। তাকেও বাড়িছাড়া হতে হয় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা রামদা ও লাঠি হামলা চালিয়ে সুশান্তর বাড়িঘর গুঁটিয়ে দিয়ে যায়। এরপর নওপাড়া গ্রামে আর ফেরেননি সুশান্ত।
 
নির্বাচনের আগে ও পরে সব সময় অশান্ত পরিবেশ যেন ঘিরে থাকে গাংনী উপজেলার সর্বত্র। পেশীশক্তির দাপট দেখায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরা। সাধারণ নিরীহ মানুষ দাপটশালীদের ভয়ে সব সময় চুপসে থাকেন। সন্ত্রাস ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতির শিকার এ এলাকার অনেকেই।  

গাংনীর মাইলমারী গ্রামে বিশাল একটা বিল রয়েছে। যে দল ক্ষমতায় থাকে বিলটি তখন চলে যায় তাদের দখলে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। এর পরে মাইলমারীর বিলও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের দখলে আসে। এ বিল নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি। ফলে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বিএনপিকর্মী নাজমুল হুদা সেন্টু। হত্যাকাণ্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমানকে দায়ী করেন নিহতের পরিবার।

রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে সেন্টুর ভাই এনামুল হক ওরফে নইলুকে (৪০) ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই খুন করা হয়। নিহত নইলু মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাইলমারী ধলা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য টুটুলের ভাই। এ হত্যাকাণ্ডেও আতিয়ার রহমানকে জড়িত করা হয়।
   
নিহত সেন্টু ও নইলুর মা জাহানারা বেগম বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ দলে (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) নেওয়া হয়েছে। আমার দুই ছেলেকে খুন করেছে আতি (সাবেক ইউপি সদস্য)। ভোটের আগে-পরে আর খুনোখুনি চাই না। আমার দু’টা কলিজার টুকরো চলে গেল। আমরা শান্তি চাই। কোনো মায়ের বুক যেন আর খালি না হয়। যেই ক্ষমতায় আসুক। আর যেন এভাবে কোনো মায়ের কোল  খালি না হয়।

দুই ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে আতিয়ার রহমান বলেন, নইলু কেমন মানুষ এ কথা গ্রামের মানুষ ভালো করেন। নইলু সব সময় চুরি ডাকাতি করে বেড়াতো। আমার মনে হয় কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যা করেছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। সবাই একই গ্রামে বসবাস করি। আমরা চাই গ্রামে শান্তি আসুক।  
 
মেহেরপুরের জেলার নির্বাচনী দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুন হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে প্রায় অর্ধশত রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থক খুন হয়েছেন (কত বছরে?)। এসব খুনের মধ্যে পৌরসভার মেয়র, প্যানেল মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বরও রয়েছেন। নির্বাচন ও রাজনৈতিক কারণে স্বজন হারিয়েছেন অনেকে। এ সব পরিবার শান্তি চান আর কোনো সহিংসতা চান না। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক মাঠে গড়িয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
 
গাংনী বাজারের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী মঙ্গল কুমার পাত্রকে ২০০৭ সালে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে গাংনী থানার মোড় এলাকায় বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ২০০২ সালে গাংনী বালিয়াঘাট গ্রামের রাজনৈতিক কর্মী পান্নাকে সন্ত্রাসীরা ইট ভাটার আগুনে ফেলে পুড়িয়ে হত্যা করে।

গাংনী উপজেলা যুবদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান কাজল মাহমুদকে ২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে বামন্দী বাজারের সততা মার্কেটের সামনে বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বামুন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা মোটর বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান বেল্টুকে ২০০৯ সালে রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়।
 
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বাকীকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের তেরাইল ডিগ্রি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়। উপজেলা শহরের থানা মোড়ে নিজস্ব ইলেক্ট্রনিক দোকানে বসে থাকা অবস্থায় সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বকুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
 
একই বছরে কাজীপুর ইউনিনের ভবানীপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২০০৫ সালে গাংনী পৌর সভার চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামকে নিজ বাড়ির সামনেই বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।  
 
২০১২ সালে বামন্দী ইউনিয়ন বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল আলীমকে সোহাগের ইটভাটার সামনে সকাল ৯টার দিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই বছরে বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মহির উদ্দীনকে বাওট ও শুকুরকান্দির মাঠের মধ্যে গুলি করে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
 
ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের বিএনপি নেতা টাইগার বাবলুকে ২০১৩ সালে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠের মধ্যে গলা কেটে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। একই গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মুক্তিযোদ্ধা আরজুল্লাহ ও তার চাচাতো ভাই মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল হোসেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে আহত হন। কিছুদিন পর মারা যায় ওই মুক্তিযোদ্ধা।
 
২০১৬ সালে মটমুড়া ইউনিয়নের কোদাইলকাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিককে কোদাইলকাটি মাঠের মধ্যে গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ২০০৩ সালে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাগবুল ইসলাম বাবলুকে মেহেরপুর শহরের বাড়িতে ফজরের নামাজের সময় হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
 
২০১৩ সালে গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের যুবদল নেতা লাভলুকে রাত ৮টার দিকে জোড়পুকরিয়া বাজারের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৬ সালে গাংনী উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি চর গোয়ালগ্রামের হাসের আলীকে সকাল বেলায় ওই গ্রামের মাঠের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা।
 
২০১৬ সালে মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের আব্দুল মজিদকে গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পার্শ্ববর্তী মাঠের মধ্যে থেকে বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই উপজেলার রতনপুর গ্রামের বিএনপি নেতা স্থানীয় গ্রাম ডাক্তার হেলাল উদ্দীন ও তার ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে মিতুকে রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ২০০৯ সালে মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের হুমায়নকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
 
২০০৮ সালে মেহেরপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা রিপনকে সন্ধ্যায় তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল বাজারে বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরের বছরে মেহেরপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরেক প্যানেল মেয়র ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপুলকে শহরের হোটেল বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা সন্ত্রাসীরা। স্বজনহারা পরিবারগুলো আর সহিংসতা চান না।  
 
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে গণতন্ত্রকে সুসংহত ও ভোটারদের মূল্যায়নকে সম্মান করতে বললেন মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন দোদুল।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণে  ইসির নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। সব দলের প্রতি সহমর্মিতা থাকতে হবে। রাজনীতি করলে মাথা গরম ও ধৈর্যহারা হলে চলবে না। রাজনীতি করলে ছোট খাটো ভুল বড় করলে হবে না। আমাদের খেয়াল করতে হবে জনগণের জন্যই আমরা রাজনীতি করি এখানে ব্যক্তি স্বার্থ যেন না থাকে। মানুষের মতামতকে মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান করতে হবে।
 
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সরকারের মনোভাব ইতিবাচসহ বিরোধীদলের ওপর দমনপীড়ন দূর করা দরকার বলে মনে করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মাসুদ অরুন।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এগুলো সরকারের ছত্রছায়ায় হয়। সব সরকারের উচিত ইতিবাচক মনোভব। যেমন নির্বাচনে আমার অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। ডিবি সদস্যরা সাদা পোশাকে আমার লোকজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। জনগণের রায় মেনে নেয়ার মন মানসিকতা অর্জন করলেই নির্বাচনের আগে-পরে শান্তি আসবে।
 
মেহেরপুর জেলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বন্ধে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।
 
মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এর জন্য যা কিছু করার দরকার তাই করবো। এখন আমরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করছি। আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিরলস ভাবে কাজ করছেন। মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। যারা নাশকতা করে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আমাদের কাছে দল নয় যে অপরাধ করবে তাকেই আইনের আওতায় আনবো। নির্বাচনের যে সহিংসতা করবে তাকেই গ্রেফতার করবো। জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমরা বন্ধ পরিকর। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।