ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইশতেহার বাস্তবায়নেই নবীন-প্রবীণের মন্ত্রিসভা: কাদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৯
ইশতেহার বাস্তবায়নেই নবীন-প্রবীণের মন্ত্রিসভা: কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন ওবায়দুল কাদের, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের উপযোগী করে নতুন এ মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় নবীন-প্রবীণ সবাই আছেন। তবে সিনিয়র মন্ত্রীদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানেন।

আমি বলবো তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, এটা বলা ঠিক হবে না। তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন হয়েছে। তারা পার্টিতে মনোনিবেশ করবেন।

‘তাছাড়া বর্তমান সরকার দুর্নীতির ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সুশাসন কায়েমে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্নীতির কারণে মন্ত্রীরা বাদ পড়েছেন, এটা ঠিক না। নতুন সরকারের কিছু চ্যালেঞ্জতো থাকবেই। তবে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা। আর এ লক্ষ্যেই নতুন এ মন্ত্রিসভা। ’

সোমবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে বঞ্চিত ও যেসব এলাকায় দীর্ঘদিন কোনো মন্ত্রী ছিলেন না, সেসব এলাকাকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে এই মন্ত্রিসভা ভবিষ্যতে সম্প্রসারিতও হতে পারে। এখানের কেউ পারফরমেন্স না করে মন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এ মন্ত্রিসভা নিয়ে সাধারণের মনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ গতকাল অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে- কে কতটুকু দায়িত্ব পালনে সফল হবেন। আর তার ওপর নির্ভর করবে তিনি কতোদিন মন্ত্রিসভায় থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার যে দৃষ্টিভঙ্গিটা কাজ করেছে- সেটা হচ্ছে, তিনি এবার মন্ত্রিসভা গঠনে গুরুত্ব দিয়েছেন যেসব এলাকাগুলো দীর্ঘকাল ধরে মন্ত্রী হওয়া থেকে বঞ্চিত, যেসব জেলা থেকে মন্ত্রী হননি কেউ, সেসব জেলাগুলোতে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো সময়ের থেকে বর্তমানে এখন যে দল রয়েছে, তা অনেক বেশি শক্তিশালী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দল আগের যেকোনো সময়ের থেকে ভালো আছে। এটা নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র ভালো করছে।

নতুন মন্ত্রিসভায় জোটের শরিকদের না থাকার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শরিকরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। মন্ত্রী না হলে তারা থাকবেন না এমন নয়। সময়ে সময়ে চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনও হতে পারে মন্ত্রিসভা। শরিকরা এখন নেই, ভবিষ্যতে আসবে না এমন নয়।

বিরোধী দল নিয়ে কাদের বলেন, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি যাবে বলে ইতোমধ্যে সিন্ধান্ত নিয়েছে। তারা বিরোধী ভূমিকা রাখলে গণতন্ত্র ভালো থাকে।

আগের থেকে নতুন মন্ত্রিসভা ছোট হচ্ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভার কিছু সম্প্রসারণ তো মাঝে মাঝে হয়ই। গতবারও প্রথম ক্যবিনেট যখন হয়, কয়েকদিন পরই আবার সম্প্রসারণ হয়েছিল। এবার নতুন মন্ত্রী নতুন মুখ আসছেন, তারা কিন্তু ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করতে পারলে আবার বাদও যেতে পারেন। ক্যাবিনেট পরিবর্তন হতে পারে। একটা সময়তো তাদের দিতে হবে।

নতুন মন্ত্রিসভায় রয়েছেন বিদায়ী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। তারা বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করবেন। তাদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।