রোববার (১৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের সিকান্দার আকনের ছেলে জাহাঙ্গীর আকন (৪০) ও মাদারীপুর রাজৈর থানার চাপাতলী গ্রামের মৃত আরশাদ আলী হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (৩২)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) সোহাগ, কনস্টেবল রাসেল ও মাসুম শেখ।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জমান বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করলে গত শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) পালং থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। পরে মামলার অপর আসামি সোহেল ঘরামিকে ধরতে তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও পালং মডেল থানার পুলিশ।
রোববার (১৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে তাদের নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার ও অপর আসামিকে ধরার জন্য অভিযানে গেলে ডাকাতদের সহযোগী অন্য ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ডাকাত জাহাঙ্গীর ও রাসেল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে সহযোগী ডাকাতরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে স্থানীয় উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তাদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল তল্লাশিকালে জাহাঙ্গীর ও রাসেলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এসময় একটি ওয়ান শ্যুটারগান, নয়টি ককটেল, আটটি রামদা, দু’টি ছুরি, তিনটি চায়নিজ কুড়াল, এবং গ্রিল কাটার কাচি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক গুলিবিদ্ধ দু’জনকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তারা একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯/আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা
আরএ