ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লাগেজ ট্র্যাকিং সিস্টেমে বিমানবন্দরে কমবে যাত্রী হয়রানি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
লাগেজ ট্র্যাকিং সিস্টেমে বিমানবন্দরে কমবে যাত্রী হয়রানি বিমানবন্দরে লাগেজ বেল্টের ফাইল ফটো

ঢাকা: বিমানবন্দরে লাগেজ নিয়ে যাত্রীদের হয়রানির বন্ধ করতে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এজন্য ‘লাগেজ ট্র্যাকিং সিস্টেম’ উন্নয়নের প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনে বুধবার (১৬ জানুয়ারি) এক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।  

বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ফাস্ট ট্র্যাক সার্ভিস’ চালুর জন্য আইসিটি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) ও  বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এ সময় পলক বলেন, এয়ারপোর্টে আসার পর বিনিয়োগকারী যদি দেখে লাগেজ পেতেই তিনঘণ্টা লেগে যায়, তাহলে প্রথমেই একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। এই সমস্যাটা চিহ্নিত সমস্যা। তাই আমরা যদি লাগেজ ট্র্যাকিং সিস্টেম করতে পারি, তবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।

‘আমাদের প্রোগ্রামার, কোডাররা পৃথিবীজুড়ে কাজ করছেন। আমাদের কাজ করতে অসুবিধা কোথায়? আমরা ইতোমধ্যে এয়ারপোর্ট অথরিটির সঙ্গে কথা বলেছি। বিমানবন্দরে একটা ওয়াইফাই জোন করাসহ কিছু কাজ আমরা করতে পারি। যেগুলো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করবে। ’

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে নতুন যাত্রা শুরু হচ্ছে। আমরা সব করে দেবো। কিন্তু সব ব্যবস্থা পরিচালনা করতে হবে স্ব স্ব দফতরকে।

সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজ‘এখন আর উপনিবেশবাদের যুগ নেই। এমনকি ডিজিটাল ইকোনমির পরিবর্তে এখন জোর দেওয়া হচ্ছে ক্রিয়েটিভ ইকোনমির প্রতি। তাই এই দিকে কাজ করবো আমরা,’ যোগ করেন তিনি।  
 
২০২৩ সালের মধ্যে ৭ বিলিয়ন রফতানি আয়:

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তিখাতে ৭ বিলিয়ন ডলার আয় করবে বাংলাদেশে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও সেবা মিলিয়ে এই আয় হবে। ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের যা টার্গেট ছিলো, এরই মধ্যে  তা পূরণ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, টেক অফের আগে ইঞ্জিন গরম করতে হয়। গত ১০ বছরে আমরা ইঞ্জিন গরম করেছি। এখন আকাশে উড়ার পালা। আমরা এবার আকাশে উড়াল দেবো, ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারকে বিডার সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ও বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে আইসিটিখাতে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন অ্যারাইভাল ভিসা, নিবন্ধন ও বিনিয়োগে সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সংগ্রহের ব্যাপারে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইসিটি খাতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের মধ্য থেকে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে এলআইসিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে বিডা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
ইইউডি/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।