ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় মানুষের ঢল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় মানুষের ঢল বাণিজ্যমেলায় মানুষের ভিড়, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ছুটির দিনে ব্যাপক ক্রেতা-দর্শনাথীদের পদচারণায় জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।

সকাল থেকেই দর্শনার্থী বাড়তে থাকে মেলায়। তাছাড়া প্রতিটি কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ সারি এখনও।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সারি বিশালতাও।

এদিকে, দুপুরের আগেই আগত দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় লেগে গেছে পুরো মেলা প্রাঙ্গণে।

ক্রেতার ঢলে খুশি স্টল কতৃর্পক্ষ। লোভনীয় খাবার আর হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে স্টলগুলো। ছাড় আর অফারে মুখরিত হয়ে উঠেছে মেলা।  

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলানিউজের নজরে।

এদিন সকালে যখন মেলার গেট দর্শনাথীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়, তখন থেকেই গেটের মধ্যে ভিড় লেগে আছে। ধারাবাহিকভাবে টিকিট নিয়ে প্রবেশ করছেন অসংখ্য মানুষ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কেনার লাইনও দীর্ঘ হতে থাকে। মেলার ভেতরে সুন্দরভাবে প্রবেশ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দর্শনার্থীদের সহযোগিতা করছেন।

ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়ে খুশি বিক্রেতারা। তাদের মতে, সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে দর্শনার্থী থাকলেও বিক্রি থাকে না। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীর সঙ্গে বিক্রিও বেশি হবে।

ব্যাংক কর্মকর্তা ইয়ারুল ইসলাম পুরান ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সপ্তাহের অন্য দিন কাজের ব্যস্ততায় ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারি না। আজ ছুটির দিন হওয়ায় কেনাকাটা করতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে, একসঙ্গে অনেক এসেছি, কেনাকাটা করছি।

নাজমুল হোসাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন মেলায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পড়াশোনা নিয়ে বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। কেনাকাটারও প্রয়োজন আছে। তাই ছুটির দিনকে বেছে নেওয়া।

ভাই ভাই গিফট হাউসের ম্যানেজার (সেলস) হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় পুরো সপ্তাহের বেচাকেনা ছুটির দিনে হয়। এদিন আমরা সে প্রস্তুতি আগেই নিয়ে থাকি। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। আশা করি বিক্রি বেশি হবে।

বুধবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর মাসব্যাপী আয়োজিত এ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন তিনি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, মাসব্যাপী এ মেলার পর্দা নামবে ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
 
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।
 
এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো- থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।