শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় দুর্ঘটনা কবলিত ইটভাটায় বাংলানিউজের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় সাগরের।
সাগর বলেন, আমার খালাতো ভাই শঙ্কর তিন মাস আগে এ ইটভাটায় কাজ করতে আসেন।
তিনি বলেন, দুই/একদিনের মধ্যে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল। সকালে এ ইটভাটায় সড়ক দুঘর্টনা হয়েছে শুনে ছুটে এসেছি। এসে দেখলাম, ভাই আমাদের ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেছেন।
সকালে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের ওই ইটভাটায় কয়লাবাহী একটি ট্রাক আনলোড করার সময় উল্টে গিয়ে শ্রমিকদের ঘরের উপর পড়ে। এতে ঘুমে থাকা শ্রমিকদের ১২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহতাবস্থায় আরও তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে একজনকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর। এসময় তিনি বলেন, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা ছাড়াও মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার পরিবহন খরচও আমরা (জেলা প্রশাসন) বহন করবো। এছাড়া আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে।
নিহতরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিপ্লব (১৯), মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় (১৯), শঙ্কর চন্দ্র রায় (২২), দিপু চন্দ্র রায় (১৯), অমৃত চন্দ্র রায় (২০), মৃণাল চন্দ্র রায় (২১), বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮), রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), কনক চন্দ্র রায় (৩৫), তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), মো. সেলিম (২৮), মো. মোরসালিন (১৮), মাসুম (১৮)। এরা সবাই স্থানীয় কাজী অ্যান্ড কোং নামে একটি ইটভাটার শ্রমিক বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
আরবি/