ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দক্ষিণে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যাবে রেল 

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
দক্ষিণে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যাবে রেল  সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ থেকে: দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বরিশালে রেল যোগাযোগ স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বুধবার (ফেব্রুয়ারি ৬) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরিশাল ছিল এক সময় বাংলাদেশের ভেনিস।

নদ-নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেহেতু পায়রা পর্যন্ত রেল যাবে, সেখান থেকে পাথরঘাটায় রেল নিতে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না। সমীক্ষা চলছে নদ-নদীর কারণে বরিশাল অঞ্চলের মাটি খুব নরম। সমীক্ষার পর বলতে পারবো কতটুকু করা যাবে।  

‘আমরা রূপপুরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি। আমরা আরেকটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করবো। সেটি দক্ষিণাঞ্চলে করবো। এই পরিকল্পনা আমাদের আছে। ’

এরপর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ এক সম্পূরক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সরকারের চলতি মেয়াদে বরিশালে রেল যাবে কিনা? প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেললাইন স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। সম্ভাব্যতা যাচাই হওয়ার পরে বলতে পারবো এই মেয়াদে করতে পারবো কিনা।  

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় জায়গা নেই। যে জায়গা আছে সেটা চাষের জমি, সেটা নষ্ট করতে চাই না। চর জাজিরায় যে বিমানবন্দর করার কথা বলা হচ্ছে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। মাটি বিমানবন্দর করার মতো শক্ত না। তবে দক্ষিণের আধুনিক বিমানবন্দর তৈরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা চালাচ্ছি।

বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেকার যুবকরা যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বিভিন্ন কর্মসংস্থান করে দিচ্ছি। একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন হলে সোয়া কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে যাবে। শুধু দেশে না, বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। এজন্য আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছি। যেভাবে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন কোনো মানুষ যদি কাজ করতে চায় সেই সুযোগ আছে।  

‘আদালতের রায় হলে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।