ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গণপরিবহনের চালকদের চক্ষু পরীক্ষা নিশ্চিতের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
গণপরিবহনের চালকদের চক্ষু পরীক্ষা নিশ্চিতের দাবি

ঢাকা: গণপরিবহনের চালকদের চক্ষু পরীক্ষা নিশ্চিতের জন্য সোচ্চার দাবি জানিয়েছে দেশের চক্ষু চিকিৎসক সমাজ।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব ও বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এক লিখিত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চালকদের চক্ষু পরীক্ষার বিষয়ে সচেতনতামূলক বহু আলোচনা হয়েছে।

দিনে ও রাতে যারা গাড়ি চালায় তাদের দৃষ্টিশক্তি কম থাকলে দুর্ঘটনার হার বেড়ে যায়।  

মানবিক সাহায্য সংস্থা এমএসএস’র জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, গণপরিবহনের ৭০ ভাগ চালক দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছেন।  

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এমতাবস্থায় দেশের সব গাড়ি চালকের চক্ষু পরীক্ষা করার পরই লাইসেন্স দেওয়া ও নবায়নের ব্যবস্থা করা উচিত। প্রতি বছর চক্ষু পরীক্ষার সনদ অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তির স্বাভাবিকতা ও সুস্বাস্থ্যের সনদ গ্রহণ করার ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে দেশের সব হাসপাতালে গাড়ি চালকদের চক্ষু পরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত। এতে দেশে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব বলে মনে করা হয়।  

এছাড়া ন্যাশনাল আই কেয়ার প্রোগ্রাম এ ব্যাপারে বিআরটিএ এবং দেশের সব হাসপাতালে চক্ষু বিভাগ সম্পৃক্ত করে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা করা হয়।

এর আগে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে এমএসএস’র কার্যালয়ে ‘আই কেয়ার প্রজেক্ট’র অন্তর্গত গণপরিবহন চালকদের চোখের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ফলাফলে বলা হয়, দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যায় ভুগছেন দেশের গণপরিবহনের ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ চালক। এর মধ্যে ৭৩ দশমিক ৩ শতাংশ চালক উভয় চোখে সমস্যায় ভুগছেন। বাকি ১২ দশমিক ২২ শতাংশ ডান চোখ এবং ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ চালক বাম চোখের সমস্যায় ভুগছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।