সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে সর্বমোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫,৬৯,৭৫০টি।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ সারা দেশের ফৌজদারি মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এজলাস সংকট নিরসনে বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিচার কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকের সংখা বাড়ানো হাচ্ছে বলেও সংসদে জানান আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, জুটিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে গতিশীল করা হয়েছে যাতে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া যায়। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অধস্তন আদালতে মোট ৫৭১ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে সারাদেশে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ২২তম জুডিশিয়াল সার্ভিস নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী জজ নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ বছরের শূন্য পদ বিবেচনায় বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত সংখ্যার অতিরিক্ত ৫০ জনসহ মোট ১০০ জন প্রার্থীকে চুড়ান্তভাবে মনোনয়নপূর্বক সহকারী জজ পদে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া আইন ও বিচার বিভাগ থেকে পরবর্তীতে আরো ১০০ জন সহকারী জজ নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন চাহিদাপত্রও পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসকে/এমজেএফ