মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। রাত ১০টা পর্যন্ত ভবনের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
এতে ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, ডিএসসিসিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।
কামরাঙ্গীরচরের কাজীবাড়ী মোড় খলিফাঘাট এলাকায় সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভবনটি হেলে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সংশ্লিষ্ট জোনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
স্থানীয় সূত্র বলছে, কামরাঙ্গীচরের প্রায় ৯০ ভাগ বাড়ি অনুমোদনহীন। বছর চারেক আগে সিটি করপোরেশনের আওতায় আসার পর থেকে এখানকার বাসিন্দারা বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে।
কামরাঙ্গীচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকনের নির্দেশে ভবনটি ভাঙা শুরু হয়েছে। ওই ভবন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ডিউটি অফিসার কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। ওই ভবনটি এক থেকে দেড় ফিট হেলে পড়েছে। ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনটির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন।
রাজউকের অঞ্চল-৫ এর পরিচালক শাহ আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রাজউক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হেলে পড়া ভবনটির অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
ডিএসএস/টিএম/আরবি/