বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন কে-ফোর্সের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যেমন সফলতা আছে, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছি, তেমনি আমাদের কিছু ব্যর্থতাও আছে।
তিনি বলেন, আজকে যদি আপনারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করেন তাহলে দেখা যাবে, প্রত্যেকটা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডাররা অংশগ্রহণ করেছিলেন একমাত্র জেড ফোর্সের মেজর জিয়াউর রহমান ছাড়া। তিনি ভারতে বসে থেকে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। তিনি সেখানে বসে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রায় একশ জন মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন।
‘শুধু তাই নয়, যুদ্ধকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান কোথায় যুদ্ধ করেছেন, কীভাবে করেছেন তার কোনো কথা উল্লেখ নাই, শুধু কিছু মিথ্যাচার ছাড়া। জিয়াউর রহমান শুধু মিথ্যাচার করে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। তাই সে সময়ের ইতিহাস সবার সামনে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ’
বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে মেজর জিয়ার হাত ছিল উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বাহবা দিয়েছিলেন এবং তাদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিভিন্ন দেশে নিয়োগ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আইন বাতিল করে জামায়াতের রাজনীতিও তিনি বৈধ করেছিলেন। এসব সত্য এখন সবার সামনে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আজকের বাংলার প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, জেনারেল খালেদ মোশাররফের কন্যা মাহজাবিন খালেদ বেবি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান লাভলুসহ সংগঠনটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
ডিএসএস/আরবি/