ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর রানাকে হাসপাতালে ভর্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর রানাকে হাসপাতালে ভর্তি

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উক্ত রক্তচাপ ও পেট ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

এরআগে, রানার উপস্থিতিতে আদালতে বাদিপক্ষের আরও একজন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা নবীনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয়।

এ নিয়ে আদালতে মোট ১৪জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ নেওয়া হলো। পরে আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম ৪ এপ্রিল এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ফারুক হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়ার জন্য গাড়িতে উঠালে তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও পেট ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নারায়ন চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে জানান, রানাকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ভিআইপি কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে। একটি মেডিকেল টিম তাকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছে।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম-আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।  

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় রানা ও তার ভাইদের জাড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।