বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি গর্ভনেন্স ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট (আন্তর্জাতিক পরামর্শক) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সমন্বিত প্রয়াসে বর্তমান আইটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে উপযুক্ত আইটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা রিমিডিয়েশন প্ল্যান প্রস্তুত করা হয়েছে।
‘প্ল্যানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। এই রিমিডিয়েশন প্ল্যানে আইটি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সার্বক্ষণিক গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে বা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বিষয়ক পলিসি ও ব্যবহারবিধির উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য আইটি সিকিউরিটি পলিসি ৩.০ ও ব্যাংক ও আর্থিক খাতের জন্য আইসিটি সিকিউরিটি গাইডলাইন হালনাগাদ করে জারি করা হয়েছে। ’
মন্ত্রী বলেন, লেনদেনভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনাসহ মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। সাইবার সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকে কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি) গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রে মালিকানাধীন ব্যাংক সিআইআরটি টিম গঠন করে সদস্যদের তথ্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে পত্র পাঠানো হয়েছে।
‘সিআইআরটি দ্বারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটা সেন্টারে সাইবার সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। এই সাইবার সেন্সর নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য গঠন করা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা টিম। এন্টি ম্যালওয়ার প্রটেকশন সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক ও সফটওয়্যার সিস্টেমে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসকে/এএ