৬টি ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্ন উত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার ৪৪১ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ৫ হাজার ৬৮৪ কোটি, রূপালী ব্যাংকে ৪ হাজার ৮৭০ কোটি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৭৯ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ হ্রাসকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনসমূহ পর্যালোচনা ও সংস্কারের নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে (ডিসেম্বর, ২০১৮ ভিত্তিক) ঋণ খেলাপির সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ১১৮। দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ ঋণ খেলাপির মধ্যে রয়েছে- কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লি. , সামানাজ সুপার ওয়েল লি. , বি আর শিপিং মিলস, সুপ্রভ ফুটওয়ার, রাইজিং স্ট্রিল, কম্পিউটার সোর্স লি. , বিনিটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ম্যাক্স শিপিং মিলস, এস এ ওয়েল রিফাইনারী লিমিটেড, রুবিয়া ভেজিটেবল ওয়েল, আনোয়ারা শিপিং মিল, ক্রিসেন্ট লেদার মিলস, সুপ্রভ রোটর শিপিং, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী নিটওয়ারস, সিদ্দিক ট্রেডার্স, রুপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার, অ্যালপা কম্পোজিট টাওয়েলস এবং এম এম ভেজিটেবল ওয়েল প্রডাক্টস লিমিটেড।
অর্থমন্ত্রী এই ২০ শীর্ষ ঋণ খেলাপির নাম প্রকাশ করে জানান, মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার কারণে উক্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্তির যোগ্য কিছু সংখ্যক ঋণ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়:১১৪৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসকে/এমএমএস