এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৬ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি দেশীয় অস্ত্র, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (০১ মার্চ) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলার চৌধুরী পাড়ার জানে আলমের ছেলে নাজির আহম্মদ (৪০), নয়াপাড়ার মো. জকরিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩০)। এছাড়াও বিজিবির গুলিতে নিহত দু’জনের নামপরিচয় মেলেনি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া এলাকায় গুলির শব্দ শুনে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা কারবারীরা পিঁছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের মরদেহ, দু’টি দেশীয় বন্দুক, ৬ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
ওসি জানান, নাজির আহম্মদ ও গিয়াস উদ্দিন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী। নাজিরের বিরুদ্ধে মাদক, হত্যা, পুলিশের উপর হামলাসহ পাঁচটি এবং গিয়াসের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ চারটি মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে শুক্রবার ভোরে সাবরাং ইউপিস্থ পুরাতন মগপাড়া কাঁকড়া প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর নায়েক সুবেদার মো. শাহ আলমের নেতৃত্বে ০১টি টহলদল দ্রুত মগপাড়া কাঁকড়া প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ইয়াবা পাচারকারীরা টহলদলের উপর অতর্কিতভাবে গুলি ছুড়লে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। ফলে এক বিজিবি সদস্য আহত হয়।
তিনি জানান, এসময় উভয় পক্ষে ৮-১০ মিনিট গুলি বিনিময় চলে। এরপর ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুলির শব্দ থামার পর ভোরের আলোতে টহল দলের সদস্যরা ওই এলাকা থেকে মগপাড়া কাকঁড়া প্রজেক্টে সরু নালার পার্শ্বে দু’জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ পিস ইয়াবা, ১ টি দেশীয় বন্দুক ও ০১টি খালী কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রয়ারি ০১, ২০১৯
এসবি/এসএইচ