ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘কেমিক্যাল কারখানা সরানো নিয়ে রাজনৈতিক লবিং হচ্ছে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৯
‘কেমিক্যাল কারখানা সরানো নিয়ে রাজনৈতিক লবিং হচ্ছে’ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ-ছবি-ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ‘চকবাজার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রথম সপ্তাহে সরকারের যে উদ্যোগ ছিলো তা এখন ঝিমিয়ে পড়ছে। এক সময় বলা হয়েছিলো কেমিক্যাল কারখানাগুলো সরিয়ে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। এখন আবারা নানা জায়গাতে যাওয়ার কথা আলোচনায় আসছে। এখন বোঝা যাচ্ছে, আবাসিক এলাকার কেমিক্যাল কারখানা, গুদাম, দোকান সরানো নিয়ে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের লবিং শুরু হয়েছে।’

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে নাগরিক সমাবেশে এসব অভিযোগ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন। সমাবেশে সংহতি জানায় ২০টি সামাজিক আন্দোলন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

ডা. আব্দুল মতিন বলেন, চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পরদিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ নানা প্রতিষ্ঠান তদন্তের নামে কমিটি গঠন করে। একইসঙ্গে তারা নানা সুপারিশ নিয়ে কথা বলেছেন। আমার মনে হয় না যে, চকবাজারের এই ঘটনায় কোনো সুপারিশ বা কোনো কমিটির দরকার আছে। এসব কমিটি দিয়ে কোনো কাজ হবে না, সমাধান আসবে না। কমিটির সুপারিশ আলোর মুখ দেখবে না।

তিনি বলেন, ১০ বছর আগে নিমতলির ঘটনায় যে জনআন্দোলন তৈরি হয়েছিলো তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক ১৭ দফা সুপারিশ গৃহীত হয়েছিলো। সেই সুপারিশের মধ্যে ছয়টি ছিলো আবাসিক এলাকা থেকে তেজষ্ক্রিয় বা দাহ্য হিসেবে চিহ্নিত ২৯টি দ্রব্যের আমদানি, মজুদ ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ ও তার সুষ্ঠু পরিবহন ও মজুদ নিশ্চিত করা। কিন্তু গত নয় বছর ধরে সরকার এসব বিষয়ের প্রতি চরম অবহেলা, অবজ্ঞা করে পুরান ঢাকা এলাকাটিকে ভয়াবহ দুর্যোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর কারণে আরও একটি দুর্ঘটনার জন্ম হলো।
তিনি বলেন, যদিও সরকার এবার নড়েচড়ে বসেছে। কিন্তু অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতাদের লবিং শুরু হয়েছে। আমাদের আশা থাকবে, কোনো লবিংয়ের দিকে না যেয়ে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা নিজেই এটার সমাধান দেবেন।

পরিবেশ আন্দোলনের নেতা জাকির হোসেন বলেন, সরকার এবার আন্তরিক আছে, বোঝা যাচ্ছে কেমিক্যাল নিয়ে একটা সমাধান আসবে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্ত সমাধান না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। কারণ অতীতের আরও ঘটনা আছে যার মোড় কয়েকদিনের মধ্যেই পাল্টে গিয়েছিলো।
তিনি বলেন, আমরা আজ শুধু ঢাকার চকবাজার থেকে কেমিক্যালের গুদাম বা কারখানা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলতে এখানে আসিনি। আমরা চাই সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আবাসিক এলাকা থেকে সব কারখানা সরিয়ে নেওয়া হোক। আবাসিক এলাকাকে নিরাপদ বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা হোক।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯ 
ইএআর/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।