এ ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল মাহবুব আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
শুক্রবার (০১ মার্চ) দুপুরে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের পুলেরঘাট বাজার এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
আহত রকিব জেলা শহরের হারুয়া এলাকার মানিক ফকিরের গলির বাসিন্দা তাহের উদ্দিন ওরফে মাইক তাহেরের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগ নেতা এ কে এম ইউসুফ মনি (৩৮) হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামি।
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রকিবসহ তার সহযোগীরা কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের পুলেরঘাট বাজারের কাছে একটি ভাঙাড়ি দোকানের সামনে জড়ো হয়েছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
একপর্যায়ে গুলি থেমে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রকিবকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এর আগেই রকিবের অন্য সহযোগীরা একটি মাইক্রোবাসে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি রিভলবার, দু’টি চাইনিজ কুড়াল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে।
পুলিশ গুলিবিদ্ধ রকিবকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আরো সাতটি মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে শহরের রথখলা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা ইউসুফ মনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় মনির ছোট ভাই কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমনকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘন্টা, ০১ মার্চ, ২০১৯
আরএ