শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে কারাগারের বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবনের রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা দিয়ে প্যাঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
কবির পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার জামিরতলা এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী কবির সিকদার গত বছরের ২ অক্টোবর ভোলা জেলা কারাগার থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন। অসুস্থ থাকার কারণে এখানে আসার পর তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন।
দুপুরে বেশ কিছু সময় ধরে তাকে নির্ধারিত স্থানে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে কারাগারের ভেতরেই বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবনের রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেল হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কৌশলে কবির তার নির্ধারিত স্থান থেকে সরে গিয়ে দেয়াল টপকে বন্ধ থাকা ডিভিশন ভবন এলাকায় পৌঁছান। তবে এ ঘটনায় কারো দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
পাশাপাশি মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এমএস/আরআর