অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে লেখা এক পত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধানদের এ নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (০১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রাধান্য দিয়ে স্বাগতিক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি অভিবাসী বাংলাদেশিদের স্বদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে উৎসাহিত করতেও নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমাদের যেমন অধিকতর বিনিয়োগ দরকার, সেই সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তি আহরণ ও ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোর সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে স্বপ্রণোদিত প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। স্বাগতিক দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের কার্যকর সেতুবন্ধন স্থাপনে সহায়তা দেওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান ও পর্যটন খাতের বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব। দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল, পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পের অবস্থান সুদৃঢ় করতে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধানেরও তাগিদ দেন তিনি।
দ্বিপাক্ষিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা ও চুক্তি সম্পাদনে যথাযথ সমন্বয়কের ভূমিকা পালন এবং রপ্তানি ও আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের বিদেশে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে রাষ্ট্রদূতরা দৃশ্যমান ভূমিকা রাখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
টিআর/জেডএস