শুক্রবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
সোহাগ চাপাইন মহল্লার ইসমাইল হাজীর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতো।
সোহাগের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, বিকেলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিআরপি’র ভেতরে অনুষ্ঠিত মেলায় ঘুরতে যাই। সেখানে সন্ধ্যার দিকে মিঠু ও প্রান্ত নামে আমাদের দুই বন্ধুও ঘুরতে আসে। এসময় মিঠু, প্রান্ত ও সোহাগ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকে। কথা বলার একপর্যায়ে প্রান্ত সোহাগকে বলে তুই নাকি আমাকে মারবি, এখন পারলে মার। পরক্ষণেই মিঠু একটি ছুরি বের করে সোহাগের পিঠে ঢুকিয়ে টান দেয়। এসময় সোহাগ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ওরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা সোহাগকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, প্রান্ত গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার চন্ডিপুর গ্রামের লিটন বাবুর ছেলে। সে চাপাইন এলাকার পরিবারের সঙ্গে থেকে চাপাইন সরকারি মডেল স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। তবে, মিঠুর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে থানায় মামলা দায়ের পর বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
ওএইচ/