আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলায় ডাকাতি হওয়া বাড়ির সত্তর বছরের বৃদ্ধা কমলা বেগম।
শুক্রবার (১ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার সময় পতিরাজপুর পুরাতন মসজিদ এলাকায় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে মারা যায় এক ডাকাত।
কমলা বেগম (৭০) বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ে ও আমি মানুষের বাড়ি কাজ করি। আমাদের থাকার জন্য একটি পাকা বাড়ি করে দিয়েছেন দাশুড়িয়ার এক আওয়ামী লীগ নেতা। পাকা বাড়ি দেখে আমার বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত। পরে দামি স্বর্ণালঙ্কার না পেয়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে আমার কাছে থাকা কষ্ট করে উপার্জন করা মাত্র ১২শ’ টাকা ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলার মোবাইল ফোনটা কেড়ে নেয়। পরে পাশের বাড়ি ডাকাতি করতে গেলে গ্রামবাসী টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। কয়েকজন পালিয়ে গেলেও একজনকে পাকড়াও করে গণপিটুনি দিলে মারা যায় সে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে পাঁচ-ছয় জনের একটি ডাকাত দল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে পতিরাজপুর গ্রামের কমলা বেগমের বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। এ সময় তার বাড়িতে কিছু না পেয়ে বয়স্ক বৃদ্ধা কমলা বেগমকে বেঁধে মাত্র ১২০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে পাশের বাড়ি পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্হানীয়
এলাকাবাসী ডাকাতদের ধাওয়া করে একজনকে আটক করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই ডাকাত। পরে তাকে একনজর দেখতে সকালে থানায় ছুটে আসেন বৃদ্ধা কমলা বেগম।
(ওসি) আরও বলেন, ওই ডাকাতের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে কমলা বেগমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
আরএ