শনিবার (০২ মার্চ) সকালে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট রোড এলাকায় ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’র উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুখেন্দু সেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহীন শুভ’র পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, বিশিষ্ট লেখক ইকবাল কাগজী, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য্য, এমরানুল হক
চৌধুরী, একে কুদরত পাশা, শিক্ষক নেতা মো. রুহুল আমিন, সিনিয়র সদস্য মুর্শেদ আলম, শহীদনূর আহমেদ, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদ মনি, দুর্যোধন রায় দুর্জয় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের ৩৫টি হাওরে বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিলো ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের গাফলতির কারণে বাঁধের কাজ শুরু হয় জাতীয় নির্বাচনের পরে। ফলে নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। আমরা সরাসরি বাঁধের তদারকি করেছি হাওরে মাত্র ৬০ ভাগ কাজ হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি বাঁধের কাজ মাত্র দুই/তিন দিন আগে শুরু হয়েছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বাঁধের কাজ নাকি ৮০ ভাগ হয়ে গিয়েছে। যা ভূয়া ও মিথ্যা।
বক্তারা আরো বলেন, প্রাক্কলের মাধ্যমেই শুরু হয় বাঁধে দুর্নীতি। যে কাজে এক লাখ টাকা প্রয়োজন সেখানে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় যার মাধ্যমে সরকারের টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে। প্রশাসন এখন ১৫ দিন সময় বাড়িয়েছে। আমরা হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই যদি সুনামগঞ্জের হাওরে ২০১৭ সালের মতো কিছু হয়
তাহলে আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলবো না। সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। এখনো সময় আছে বাঁধের কাজ সঠিক মতো করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
আরএ