শনিবার (২ মার্চ) খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুখ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ কেবল এসডিজি বাস্তবায়ন করছে না, এটি প্রণয়নেও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
খুলনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মিক সম্পর্ক ছিল উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, খুলনা বিভাগের লোকজনের চিন্তা-চেতনা আলোকিত পর্যায়ের। উদ্ভাবনীতে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় খুলনা এগিয়ে। যেহেতু এক এক এলাকার সম্পদ, সম্ভাবনা, সমস্যা ভিন্ন তাই সে এলাকার প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় রেখেই এসডিজি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা করতে হবে।
বিকেলে মুখ্য সচিব নজিবুর মহমান খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্পের আওতায় সফল উদ্যোক্তা উপকার ভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
সেখানে তিনি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে খুলনাতে শিগগিরই আইটি পার্ক নির্মাণের আশ্বাস দেন।
এর আগে তিনি খুলনা শিশু হাসপাতাল, নির্মিতব্য শেখ রাসেল ইকোপার্ক পরিদর্শন করেন।
নজিবুর রহমান রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের সামন্তসেনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত দু’টি ঘর উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করেন। এছাড়া মুখ্য সচিব খুলনা অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুনর্বাসিত ভিক্ষুকদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিটের সহযোগিতায় এবং খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এ কর্মশালা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মিজ জুয়েনা আজিজ, নৌপরিবহন মন্ত্রালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
কর্মশালার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন।
সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/