এ লক্ষ্যে ‘উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যে ৩৪০টি সেতু হবে, তার মধ্যে উপজেলা সড়কে নির্মিত হবে ৫১টি, ইউনিয়ন সড়কে ৬৯টি এবং গ্রাম সড়কে নির্মিত হবে ২২০টি সেতু। সেতুর অ্যাপ্রোচ ও অ্যাকসেস সড়ক উন্নয়নেও কাজ করা হবে, যা হতে পারে ১০০ কিলোমিটারের মতো।
আগামী মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সেদিন সকালে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার আলোকে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হলে গ্রামীণ যোগাযোগ সাবলীল ও সহজ করা অত্যন্ত জরুরি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে হাট-বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাকেন্দ্র, শিল্পকারখানা, ঘাট, কৃষি-অকৃষি পণ্য উৎপাদনকেন্দ্র ইত্যাদির সঙ্গে পারস্পরিক উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। গ্রামীণ জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সার্বিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে এ প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ঘোষিত অন্যতম লক্ষ্য- ‘আমার গ্রাম আমার শহর’। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগুতে চাই, কাউকে পেছনে ফেলে নয়। গ্রামে সব ধরনের উন্নয়ন করতে চাই। সারাদেশের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছোট ছোট সেতু নির্মাণ করবো। একটা ছোট সেতু হাজারো মানুষের মনে আনন্দ দিতে পারে, তাদের জীবন বদলে দিতে পারে, সেই উপলব্ধি আমাদের আছে। ছোট নদী বা খালের ওপর একটা সেতু হলে এসব এলাকার মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। তাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে যায়, স্বাচ্ছন্দ্য আসে। আমাদের সরকার এই কাজটুকু করতে চায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এমআইএস/এইচএ/