সোমবার (০৪ মার্চ) বেলা পৌনে একটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তাকে বহনকারী ফ্লাইট। বিমানবন্দরে আগে থেকে অবস্থান করা একটি চিকিৎসক প্রতিনিধি দল তাকে নিয়ে বেলা দেড়টার দিকে কালো রংয়ের প্রাইভেট কারে করে বিএসএমএইউ-তে প্রবেশ করে।
এসময় ডা. দেবী শেঠীকে বিএসএমএমইউ-তে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুণ।
বিএসএএমইউ এর প্রক্টর অধ্যাপক সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠীসহ আগে গঠিত ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন মেডিকেল বোর্ড গঠন হবে।
তারা কাদেরের চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় কি সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাছাড়া তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে কিনা সেটাও ওই নতুন মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার বিষয়ে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও। সিদ্ধান্ত আসা মাত্রই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সকালে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে এসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আশা করছি এমন উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাল্লাহ। সর্বোপরি আমরা আশাবাদী।
এর আগে রোববার (৩ মার্চ) রাতে সংবাদ সম্মেলনে ডা. কনক কান্তি বলেছিলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তিনি হাত-পা নাড়ছেন, প্রস্রাব হচ্ছে, যেটা দুপুরের দিকে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।
এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার চিন্তা করা হলেও পরে সেখান থেকেই ঢাকায় আসা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে আপাতত সিঙ্গাপুর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
রোববার ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। প্রথমে আইসিইউতে নেওয়া হলেও পরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ২ নম্বর বেডে রাখা হয় তাকে। এনজিওগ্রামে কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এমএএম/এজেডএস/ইএআর/এসএইচ