ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

অগ্নিঝরা মার্চজুড়ে কর্মসূচি রাজশাহী জেলা প্রশাসনের 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৯
অগ্নিঝরা মার্চজুড়ে কর্মসূচি রাজশাহী জেলা প্রশাসনের  রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়

রাজশাহী: অগ্নিঝরা মার্চজুড়ে এবার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারিভাবেই এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। 

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নেজারত শাখা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া এক প্রস্তুতিমূলক সভা এরইমধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওই সভায় এসব কর্মসূচি নেওয়া হয়।   

এর মধ্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে মাইকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য চিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের পুস্তক ইত্যাদি প্রদর্শন করা হবে।

আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মজয়ন্তী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৬ মার্চ শিশু একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৭ মার্চ মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে সকাল সাড়ে ৯টায় শিশু সমাবেশ এবং শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি শেষ হবে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে।

সকাল ১০টায় সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সোয়া ১০টায় একাডেমি মিলনায়তনে সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।  

ওইদিন দুপুরে রাজশাহী জেলার প্রতিটি মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে মহানগরীর বিভিন্ন গির্জা ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।  

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে আছে-সব স্কুল ও মাদ্রাসায় গণহত্যা দিবস সম্পর্কিত স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা, গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শন, গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৭টায় মহানগরীর বধ্যভূমিগুলোতে একযোগে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হবে। এছাড়াও গণহত্যা দিবস স্মরণে রাত ৯ থেকে রাত ৯টা ১মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট (অন্ধকার) কর্মসূচি পালিত হবে।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অফিস- আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।  

দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হবে। রাতে বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হবে। সকালে কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও প্রীতিভোজ, আলোচনা সভা ও প্রীতি ফুটবলের আয়োজন করা হয়েছে। স্কুলে মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত হয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের শোনাবেন। এছাড়াও স্বাধীনতা দিবসে শহরের বিভিন্ন এতিমখানা, হাসপাতাল ও কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এসএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।