সোমবার (০৪ মার্চ) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উপস্থাপিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে শ ম রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে রাজউক প্রাথমিকভাবে ৩২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছিলো।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে রাজউক এই ৩২১টি ভবন ফের জরিপ করে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে মালিকরা এরইমধ্যে ২৫টি ভবন ভেঙে ফেলেছেন। এছাড়া ২৮টি ভবন মালিকরা ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে ২৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিদ্যমান আছে, যার মধ্যে ৩৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২২০টি বাহ্যিক ঝুঁকিপূর্ণ।
সরকারের সংশ্লিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে ওই ভবনগুলো চূড়ান্তভাবে ঝুঁকিপূর্ণ নিশ্চিত করা সাপেক্ষে সেগুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান আছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য হাজি মো. সেলিমের এক প্রশ্নের উত্তরে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ঢাকায় পরিত্যক্ত বাড়ি আছে এবং এর সংখ্যা ৬৪০৯টি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত পরিত্যক্ত বাড়িগুলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ডিমান্ড নোট হোল্ডারদের অনুকুলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত বাড়ি থেকে কিছু বাড়ি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরাদ্দ প্রাপক ও ডিমান্ড নোট হোল্ডারদের অনুকূলে বিতরণ করা হয়েছে। কিছু বাড়ি মালিকদের অনুকূলে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে সংসদে জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এসকে/জেডএস