ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সমাধিসৌধ হচ্ছে শহীদ কামারুজ্জামানের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৯
সমাধিসৌধ হচ্ছে শহীদ কামারুজ্জামানের

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় থাকা পিতৃভূমিতে সমাধিসৌধ হতে যাচ্ছে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের। 

সাত বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হবে এ সমাধিসৌধ। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) আগামী এক বছরের মধ্যেই প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

 

এজন্য নতুন করে পাঁচ বিঘা জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় হবে ৭৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৪২ কোটি টাকা ব্যয় হবে ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণে।  

বাকি ৩৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে অবকাঠামো নির্মাণে। রাসিকের পক্ষ থেকে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। যা অনুমোদনের জন্য এখন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে।

রাসিকের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা যায়, সমাধিসৌধে প্রবেশপথ সরাসরি সংযুক্ত করা হবে মহানগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় গ্রেটার রোডের সঙ্গে। সড়ক থেকে ঢুকলে প্রথমেই চোখে পড়বে প্রধান ফটক। প্রধান ফটকের পশ্চিম পাশে থাকবে ভিআইপি পার্কিং প্লেস।  

সেখান থেকে হাঁটা পথ। হাঁটাপথ সোজা নিয়ে গিয়ে পৌঁছাবে সমাধিক্ষেত্রে। এরমধ্যেই পড়বে পুকুর। পুকুরের ওপর দিয়ে পারাপারের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক একটি সেতু।  

সমাধিক্ষেত্র ঘিরে থাকবে লাইব্রেরি, ক্যাফে এবং গবেষণা উইং। থাকবে মাল্টিমিডিয়া থিয়েটার। যেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জীবন্ত হয়ে উঠবে দর্শনার্থীদের সামনে। এসবের মধ্যখানে থাকবে সুপরিসর সংগ্রহ আঙিনা। সেখান থেকে আরেকটি হাঁটা পথ গিয়ে মিশবে বর্হিগমন পথে। সমাধিসৌধের দ্বিতীয় ফটক পেরুলেই কাদিরগঞ্জ সড়কে পৌঁছাবেন দর্শনার্থীরা।

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, প্রকল্পটির অনুমোদন এখনও মেলেনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি অর্থায়নেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। আলোচনা চলছে, শিগগিরই প্রকল্পটির অনুমোদন মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান প্রকৌশলী।  

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত হন রাজশাহীর কৃতি সন্তান এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা। পরে পৈত্রিক নিবাস কাদিরগঞ্জে তার মরদেহ সমাহিত করা হয়।  

বাংলাদেশের ইতিহাসে উজ্জ্বল নক্ষত্র জাতীয় চার নেতার অন্যতম তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গঠনে অংশ নেন। তার সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দ্বিতীয় দফায় রাসিকের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।