বুধবার (৬ মার্চ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উপস্থাপিত আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেজাল ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ আমরা প্রণয়ন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ৬৪ জেলায় ৬৪টি ও ৬টি মেট্টোপলিটন এলাকায় ৭টি মোট ৭১টি বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত গঠন করা হয়েছে। মামলা পরিচালনার জন্য প্রতিটি আদালতে একজন করে পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ, জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মতবিনিময় সভা, পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি, পোস্টার, লিফলেট, পাম্পলেট বিতরণ এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা হচ্ছে। সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আওতায় মোট ৫০টি খাদ্য পরীক্ষাগারের একটি ল্যাব ডাইরেক্টরি প্রণয়ন করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল নিরূপণ এবং পরীক্ষার জন্য ১০টি ল্যাবরেটরি ও ২৩৪টি টেস্ট প্যারামিটারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ‘নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, গুলিস্তান, পল্টন ও সচিবালয় এলাকার হোটেল-রেস্তারাঁকে গ্রেডিং পদ্ধতির (এ+, এ, বি ও সি) আনার কাজ চলছে। ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি ৫৭টি হোটেল-রেস্তারাঁ এ+ (গ্রিন) ও এ (ব্লু) স্টিকার দেওয়া হয়েছে। ৭২৮ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৬টি মামলা দায়ের করে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৪০ টাকা অর্থদণ্ড, ২৫৬ ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ অধিবেশনে শেখ হাসিনা জানান, ভেজালবিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। অপরাধী প্রতিষ্ঠানে সিলগালা ও মামলা রুজু, সড়ক-মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশি চেকপোস্ট স্থাপন ও তল্লাশি, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য মজুদ, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন নোংরা পরিবেশে খাবার প্রস্তুতসহ অন্যান্য অনিয়মের কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড প্রদান এবং ভেজাল পণ্য তৈরির উপকরণ জব্দের পাশাপাশি নষ্ট করা হচ্ছে। খাদ্যের মান ফিরে না আসা পর্যন্ত ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এসকে/এমজেএফ