যশোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের এই নন্দিত পদক্ষেপে খুশি যশোরসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। টিকিট বিক্রি শুরুর পর গত তিনদিনে ২৬টি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটেই ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ যশোর স্টেশনে যাত্রী নামাতে তিন মিনিটের যাত্রা বিরতি দেবে। এরপর খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হবে এবং দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে যশোর ফিরে কলকাতাগামী যাত্রী ওঠাতে তিন মিনিটের যাত্রা বিরতি দিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত যশোর থেকে কলকাতা সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ ছিলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা (চিৎপুর স্টেশন) রুটে ৪৫৬ আসন বিশিষ্ট ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার চালু হলেও যশোরে কোনো স্টপেজ ছিলো না। এজন্য যশোরের বিভিন্ন সংগঠন স্টপেজ এবং সিট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছিলো। বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শেষে উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যশোরে স্টপেজ দিতে সম্মতি প্রকাশ করে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন যশোর স্টেশন মাস্টারকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে জানানো হয়েছে, যশোরের মানুষের জন্য ২০০টি আসন বরাদ্দ থাকবে। এছাড়াও আপ এবং ডাউন ট্রেনে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য তিন মিনিট যাত্রা বিরতি থাকবে যশোর স্টেশনে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী গত সোমবার (০৪ মার্চ) থেকেই সরাসরি যশোর রেলওয়ে জংশন এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রুটের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘বন্ধন এক্সপ্রেসে’ কেবিনে দেড় হাজার ও চেয়ারের জন্য এক হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উভয় টিকেটের যাত্রীদের ভ্রমণ ট্যাক্স বাবদ আরও ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বেনাপোল চেকপোস্টে অবস্থিত বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হওয়া থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এক বছর আড়াই মাসে উভয় দেশের ১৫ হাজার ৫৭৯ জন যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে কলকাতা থেকে খুলনা এসেছেন ৬ হাজার ৭৪৫ জন এবং খুলনা থেকে কলকাতায় গেছেন ৮ হাজার ৮৩৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
ইউজি/জেডএস