বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনে মধ্য দিয়ে এ দিনের কর্মসূচি শুরু করে আওয়ামী লীগ। পরে সকালে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক এ দিনটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যম দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে, প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সংগ্রামরত মুক্তিকামী জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’
সেই ভাষণের পর সর্বস্তরের জনতার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় করণীয়। পরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণায় বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার প্রতিরোধে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ত্রিশ লাখ প্রাণ আর লাখ লাখ মা বোনের সম্ভ্রম হারানোর বিনিময়ে বাঙালি ১৬ ডিসেম্বর লাভ করে তার শত শত বছরের কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
বঙ্গবন্ধুর শিহরণ জাগানো ভাষণটি ইউনেস্কোর তরফ থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ঐতিহাসিক দিনটি পেয়েছে নতুন মাত্রা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ/