সোমবার (১১ মার্চ) রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৯।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, প্রভেস্টকে লাঞ্ছনা ও ভাঙচুরের অভিযোগে নূরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দায়ের হওয়া অপর তিনজন হলেন- সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩০/৪০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নূরের নাম ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফলে নূরুল হক নূর পান ১১ হাজার ৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।
মামলার এজাহারে বর্ণিত অভিযোগ অনুযায়ী পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে ভোট চলকালে রোকেয়া হলে গিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা। তারা গুজব ছড়িয়ে দেন যে, ট্রাঙ্কভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। এ পর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি, সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালান। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন, যা খুলে সব ব্যালট পেপারই সাদা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
পিএম/জেডএস