সভায় পাওয়ার চায়না কোম্পানি মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া উপস্থাপন করে নতুন প্রজন্মের জন্য রাজশাহীকে তৈরির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র।
সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখে উচ্চভিলাষী মনে হতে পারে।
মেয়র বলেন, পাওয়ার চায়নার সঙ্গে আগামীতে সভা হবে। মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে কাজ শুরু করা হবে। আমরা দ্রুত কাজ এগিয়ে নিতে চাই।
সভায় পাওয়ার চায়না কোম্পানির মি. এ্যান্ডু পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে খসড়া মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন করেন। এসময় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরা হয়।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এরপর তিনি চায়না বৃহত্তর একটি কোম্পানি পাওয়ার চায়নাকে মেয়রের কাছে পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানিটির সঙ্গে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম সভা এবং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পাওয়ার চায়না সিটি কর্পোরেশনের চাহিদা অনুযায়ী মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে উন্নয়ন কাজে আগ্রহ প্রকাশ করে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার উভয় পক্ষের মধ্যে তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হলো।
উন্নয়ন প্রজেক্টে অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার চায়না। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, পদ্মা নদীর ধারে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হবে। রাজশাহীতে জেনারেল এবং স্পেশালাইজড হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো হবে।
শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে। মহানগর এলাকায় গণপরিবহন, সম্প্রসারিত রাস্তা, আলোকায়ন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার করার কথা রয়েছে। উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্তের পর সিটি কর্পোরেশন ও পাওয়ার চায়নার মধ্যে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
মতবিনিময় সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা বেগম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, এডিসি (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) প্রধান প্রকৌশলী হাসিনা দিলরুবা, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মুহম্মাদ আলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক, পিডব্লিউডি রাজশাহী ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সানিউল হক, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এসএস/আরআর