মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে তাদের মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
তারা হলেন- শিক্ষক আমির হোসেন (৩৫), ভিডিপি’র প্লাটুন কমান্ডার মিহির কান্তি দত্ত (৪৫), ভিডিপি সদস্য জাহানারা বেগম (৪৩), বিলকিছ বেগম (৫০), আল আমিন (১৮) ও চান্দের গাড়ির হেলপার মিন্টু চাকমা (২৭)।
রোববার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে সাজেকের ৩টি কেন্দ্র থেকে বাঘাইছড়িতে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর এলাকাবাসীয় মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আর নিহতদের স্বজনরা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক অনুতোষ চাকমা জানান, মরদেহগুলোর ময়না তদন্ত শেষে পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। বাঘাইছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গির আলম জানান, ময়না তদন্ত শেষে যত দ্রুত সম্ভব মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান বলেছেন, যেহেতু পার্শ্ববর্তী এলাকার ঘটনা, তারপরও আমরা খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছি। এটি আঞ্চলিক দলগুলোর চলমান দ্বন্দ্বের জেরে হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এডি/জেডএস