এ নিয়ে প্রশাসনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না নিরীহ ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী ছফির উদ্দিন জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে স্থানীয় দুর্বৃত্ত হুমায়ুনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের সাড়ে ১০ কাঠা খারিজ ফসলি ভূমি দখল করে যন্ত্র দিয়ে মাটি খুঁড়ে বিক্রি করছে।
বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
অপর ভুক্তভোগী আ. মোতালেব বলেন, ওই ভূমিটিতে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কিন্তু হুমায়ুন আদালতের আদেশ অমান্য করে যন্ত্র দিয়ে গর্ত খুঁড়ে মাটি বিক্রি করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে অসংখ্যবার সালিশ হলেও বিচার মানছেন না হুমায়ুন। বর্তমানে পরিবার নিয়ে আমরা হুমকির মুখে দিনযাপন করছি।
সদর উপজেলার ১১ নম্বর ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান সরকার সাজু বলেন, মালিকানা বিরোধের জের ধরে অনেকবার সালিশ হয়েছে। কিন্তু আপস হয়নি। বর্তমানে হুমায়ুন ওই জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে। তবে প্রকৃত মালিক কে, তা বলতে পারছি না।
তবে অভিযোগ বিষয়ে হুমায়ুন বলেন, আমি আমার জমি থেকেই মাটি কেটে বিক্রি করছি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করা আইনে অপরাধ। এ ধরনের কোনো ঘটনা জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে এসিল্যান্ড ভালো বলতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এমএএএম/এএ