আটকের পর বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
আটকরা হলেন- মহানগরের কাটাখালি থানার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার সামাউন আলীর ছেলে জনি হাসান (২৪), একই এলাকার মাসুদ রানার ছেলে জনি আলী (২৬), রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ইনসান মিয়া (২২) ও মহানগরের কাটাখালি থানার হরিয়ান পশ্চিমপাড়া এলাকার রেজাউল করিম রেজুর ছেলে সুমন রানা (২৭)।
তাদের কাছ থেকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ ৮ লাখ ১২ হাজার জাল টাকা জব্দ করেছে। একইসঙ্গে জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু আহাম্মদ আল-মামুন জানান, তার নেতৃত্বেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম ও এসআই সাইফুল ইসলামসহ একটি দল মহানগরের কাটাখালি থানার দেওয়ানপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে পরিচালিত এ অভিযানে ওই এলাকার সাব-ওয়ে ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে প্রথমে তিন যুবককে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৮১২টি এক হাজার টাকার জাল নোট জাল জব্দ করা হয়। অর্থাৎ বাজারে যার সমমূল্য আট লাখ ১২ হাজার টাকা। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, কাটাখালি থানার হরিয়ান পশ্চিমপাড়া এলাকায় সুমন রানার দোতলা বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও জানান, এসময় বাড়ির নিচতলার একটি গোপন কক্ষের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সেখান থেকে ল্যাপটপ, কালার প্রিন্টার ও জাল টাকা তৈরির কাগজসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সুমনকেও আটক করা হয়। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
আটকরা ওই বাড়িতেই জাল টাকা তৈরি করে আসছিল। জাল টাকা তৈরির পর সেগুলো বাজারে ছাড়ার কথাও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। কেবল তাই নয়, এ সংঘবদ্ধ চক্রটি ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক লাখ জাল টাকা বিক্রি করতো। আর এ জাল টাকায় মাদকদ্রব্য কেনাবেচা করা হতো বলেও পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাই আদালতে হাজির করে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। এর আগে মামলা দিয়ে দুপুরেই তাদের কাটাখালি থানায় সোপর্দ করা হবে বলেও জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এসএস/আরবি/