তবে ভোগান্তি হলেও তা মেনে নিতে চান যাত্রীরা। তারা বলছেন, সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়।
এদিকে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন চান পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গণপরিবহন রাস্তায় নামাননি এমনটাই বলছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য। এছাড়া ধীরগতির তিন চাকার বাহন রিকশার দখলে প্রধান সড়কগুলো। তবে কোনো কোনো এলাকায় ঠিক বিপরীত চিত্র। মাঝে মধ্যে হঠাৎ দেখা মিলছে গণপরিবহনের।
বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো রাস্তাজুড়ে চলছে রিকশা। মাঝে মধ্যে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি। আধ ঘণ্টা অপেক্ষার পর হঠাৎ দেখা গেলো বনানী-মতিঝিল ট্রান্সপোর্টের একটি বাস। তবে দুপুর হওয়ায় এ রুটে যাত্রীদেরও দেখা মিলেছে কম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার চিত্র একেবারেই বিপরীত। বেলা ১২টার দিকে দেখা যায়, কারওয়ান বাজার মোড়ে দীর্ঘ যানজট। ট্রাস্ট ও বিআরটিসিসহ কয়েকটি কোম্পানির বাস চলতে দেখা গেছে।
তবে প্রগতি সরণি, কুড়িল, উত্তরা, শাহবাগ, সদরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়ক অবরোধের কারণে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর অন্য এলাকায় গণপরিবহনসহ অন্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে।
শফিউল্লাহ নামের এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, গণপরিবহন না থাকায় একটু কষ্ট হলেও তা মেনে নিতে রাজি আছি। গণপরিবহন চালিয়ে কী লাভ, যদি সড়কে মানুষের জীবন নিরাপদ না থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মুন্নি আকতার নামের এক তরুণী বলেন, আসলে এ দেশে আর কত প্রাণ ঝরলে সরকারের হুশ হবে। আসলে আমরা মেরুদণ্ডহীন, সরকারও তাই। যদি সরকার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা ঢেলে না সাজায়, তাহলে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো দরকার নেই।
চালকদের বেপরোয়া দৌরাত্ম্যে সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। সবশেষ গত ১৯ মার্চ রাজধানীর প্রগতি সরণির নর্দ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হয়। এর জের ধরে ২০১৮ সালের জুলাই মাসের আন্দোলনের মতো রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২০,২০১৯
টিএম/জেডএস