বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল বাহার জামিন মঞ্জুর করেন।
এরআগে, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কালাই উপজেলার শারুঞ্জা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলামের ছেলে আবু হেনা (৩৮) মামলাটি দায়ের করেন।
জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বাংলানিউজকে জানান, মোট ২৫২ জন আসামির মধ্যে এজাহার নামীয় কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনফুজুর রহমান মিলন, পুনট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ফকির, উদয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম নয়ন চৌধরীসহ ১০২ জনের সবাইকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে উপজেলা নির্বাচন পূর্ববর্তী বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুনট মোন্না পাড়ার মৃত. আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে ও মিলনের কর্মী-সমর্থক আফতাব সরদার (৫৫) এবং পুনট মাইশ্বা পাড়ার শ্রী চারু মোহন্তের ছেলে রতন মোহন্ত (৪৮) নিহত হন।
পরের দিন নিহত আফতাব সরদারের ছেলে গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আ.ন.ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক এবং উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী দাদাসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে কালাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কালাই উপজেলার শারুঞ্জা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলামের ছেলে আবু হেনা (৩৮) এই মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এনটি