মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম বড়ইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শুভ একই এলাকার মাহবুব হাওলাদারের ছেলে ও বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
নিহত শুভ রাজাপুর থানার দুইটি হত্যা মামলা ও ঢাকার রামপুরা থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামি ছিলেন। ওই মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাস করে সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পান।
নিহত শুভর বাবা আব্দুল্লাহ আল মাহবুর ও তার মা নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিম বড়ইয়া গ্রামের কলাকোপা এলাকার ইসরাফিল হাওলাদারের ছেলে নেয়ামত উল্লাহসহ কয়েক যুবক রাতে পিকনিকের কথা বলে শুভকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুভর মা মোবাইলে কল দিলে তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে আছেন বলে জানান। সকালে পশ্চিম বড়ইয়ার কলাকোপা বিলেরবাড়ি এলাকার একটি মাঠে গোঙানির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশী রেনু বেগম শুভকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে দেখে শুভর বাবা মাহবুবকে খবর দেন।
পরে হাত-পা কাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি শুভকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
রাজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবুল খায়ের রাসেল জানান, ডান হাত ও বাম পা কেটে নেওয়ায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপশি জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, শুভ বড়ইয়ার কলেজের ছাত্র সোহেল রানা ও রাজাপুর ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র শুক্কুর হাওলাদার হত্যা মামলার আসামি এবং ঢাকার একটি অস্ত্র আইনের মামলা রয়েছে তার নামে।
এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্ততি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
এমএস/আরআর