মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাহাপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দু’ঘণ্টা পর ঘাতক বড় ভাই আব্দুল কাদের সদর থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমপর্ণ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সাহাপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের দুই ছেলে আব্দুল কাদের ও সুজন আলী। রাত ৯টার দিকে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে তদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুজনকে কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই সুজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, বছরখানেক আগে জমি-জমা বিক্রি করে সৌদি আরবে যান সুজন। কিন্তু সৌদিতে যে চাকরির কথা বলে পাঠানো হয়েছিলো সেই চাকরি না দিয়ে মরুভূমির একটি খামারে কাজ দেওয়া হয় সুজনকে। প্রবাসে কষ্টের চাকরি না করে সাত মাস আগে দেশে ফিরে আসে সুজন। বিষয়টি নিয়ে সুজনের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হতো বড় ভাই আব্দুল কাদেরের।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পারিবারিক নিয়ে রাতে দুই ভাই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বড় ভাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোট ভাই সুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় ঘাতক বড় ভাই আব্দুল কাদের। এর দু’ঘণ্টা পর নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এএটি