ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চার জেলায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
চার জেলায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬ বাংলানিউজ গ্যাফিক্স

কক্সবাজার:  রাজধানীসহ দেশের চারটি জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিহতদের মধ্যে দস্যু বাহিনী, মাদককারবারী, সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী রয়েছে। অভিযানে মাদক ও অস্ত্র জব্দ করা হয়। 

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতের বিভিন্ন সময় এসব ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।  

টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) ভারপ্রাপ্ত মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বাংলানিউজকে জানান, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফের খারাংখালী এলাকা দিয়ে নাফ নদী সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময় বিজিবির সদস্যরা সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে দাঁড়ানোর সংকেত দিলে তারা উল্টো বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।  

এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই মাদককারবারীর মরদেহ ও এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, টেকনাফে নিহত দুজন হলেন- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. তাহেরের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াস (১৮) ও বালুখালী ক্যাম্পের মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. ফারুক মিয়া। নিহতদের মরদেহ টেকনাফ থানা পুলিশের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
 
অন্যদিকে কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা ঘাট এলাকায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে উপকূলীয় জলদস্যুবাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন দস্যু নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই দস্যুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

র‌্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, ভোর চারটার দিকে র‌্যাবের একটি দল সাগরের চট্টগ্রাম-বাঁশখালী এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় র‌্যাবের কাছে খবর আসে পেকুয়ার মগনামা এলাকায় জলদস্যুবাহিনী সাগরে ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে দ্রুত টহল দল মগনামা এলাকায় যাওয়ার পথে জলদস্যুরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। র‌্যাবের অভিযানের মুখে এক পর্যায়ে ২০-২২ জন জলদস্যু সাগরে পালিয়ে যান।  

পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হলে দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ এবং আটটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতদের নাম পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে রাতে রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৫) নামে নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হন। শফিক তিনটি হত্যা মামলা, চারটি অস্ত্র মামলাসহ অন্তত এক ডজন মামলার পলাতক আসামি।  

এছাড়া গাজীপুরের এরশাদনগর এলাকায় ছিনতাইকারীদের গুলিতে কাওসার (২৫) নামে এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতরাতে এরশাদনগর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কাওসারকে আটক করা হয়। কিন্তু বিষয়টি টের পেয়ে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিতে কাওসার আহত হন।  

পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯/আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা
আরএস/এসবি/আরআইএস/এমএ

** কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।